দেশের যে ৭ সড়কে চলতে গেলে গুণতে হবে টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৫ PM

একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। তবে এসব প্রকল্পের জন্য চাই প্রচুর অর্থ। এসব অর্থ ব্যয়ের জন্য সরকার দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। এসব ঋণ পরিশোধ করতে হলে অর্থ ফিরে পাওয়ার পথ তৈরি করা লাগে। এরই অংশ হিসেবে এবার দেশে নতুন করে আরও সাত সড়ককে টোলের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)!সড়কগুলো হলো ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-সিলেট, সিলেট-তামাবিল, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ভাঙ্গা-বেনাপোল, ভাঙ্গা-বরিশাল ও ঢাকা বাইপাস।
 
সওজ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সাত সড়কের মধ্যে মধ্যে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সবার আগে টোল আদায় করা শুরু হতে পারে। এরই মধ্যে মহাসড়কটির জয়দেবপুর-এলেঙ্গা অংশ চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। দুই পাশে রয়েছে দুটি আলাদা সার্ভিস লেন। এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কটি একইভাবে উন্নয়ন করা হচ্ছে। নির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী মহাসড়কটির উন্নয়নকাজ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
 
এদিকে ঢাকা-সিলেট, সিলেট-তামাবিল ও ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলমান। কাজটি শেষ হলেই এ পথে চলাচল করা যানবাহন থেকে টোল আদায় শুরু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামে টোল আদায় শুরু হবে মহাসড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়ে মানে উন্নীতের পর। একইভাবে চার লেনে উন্নীতের পর টোল আদায় শুরু হবে ভাঙ্গা-বেনাপোল ও ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে। টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সাত মহাসড়কই পড়েছে ‘‌গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক’ শ্রেণিতে।
 
২০১৪ সালের টোল নীতিমালা অনুযায়ী, এসব সড়কে যানবাহনের ভিত্তি টোল কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা। বর্তমানে এ নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ভিত্তি টোলের সঙ্গে প্রতি বছর সমন্বয় করা হবে ভোক্তা মূল্য সূচক। অর্থাৎ ভোক্তা মূল্য সূচক বাড়লে প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে টোলের হার।
 
বিদ্যমান ও খসড়া সংশোধিত—দুই নীতিমালাতেই টোল আদায়ের জন্য যানবাহনের ১৩টি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। যানবাহনভেদে টোল হারে রয়েছে ভিন্নতা। সবচেয়ে বেশি টোল নির্ধারণ করা আছে ‘‌ট্রেলার’ শ্রেণির মোটরযানের। অন্যদিকে সবচেয়ে কম টোল নির্ধারণ করা আছে রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, ঠেলাগাড়ির মতো যানবাহনের; যেগুলো মোটরচালিত নয়। সাত মহাসড়কে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে
 
জানতে চাইলে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, ‘সড়কগুলোতে প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর উন্নয়ন করা হবে। সড়কগুলোয় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত হিসেবে গড়ে তোলা, সার্ভিস লেনের মতো বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা রাখা, টোল প্লাজার মতো অবকাঠামো নির্মাণের পরই টোল আদায়ের কাজ শুরু করা হবে।’