১৫ বছরের অধিক সময় স্থায়ী হবে
সিলেটে জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান
দেশে জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিলেট ১০নং গ্যাসকূপের একটি স্তর থেকে এই তেল পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে দিনে ৫শ থেকে ৬শ ব্যারেল তেল পাওয়া যাবে।
আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ১০ নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ১০ নম্বর কূপের ওই অঞ্চলে আমরা দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করি। এ খনন কাজে চারটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম স্তরে আমরা তেলের সন্ধান পেয়েছি।’
জানা যায়, সিলেট-১০নং কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই।
যেখানে মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়। যেখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি মিলে। এ ছাড়াও ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতির প্রাথমিকভাবে নিশ্চত করা হয়। যেখানে পরিমাণ হিসেবে বলা হয় এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি।
বলা হয়েছে, সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ রয়েছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর সাসটেইন করবে এবং গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সময় স্থায়ী হবে।