আয়কর রিটার্ন দাখিল দুর্ভোগ কমাবে

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল দুর্ভোগ কমবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৮ AM

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল দুর্ভোগ কমাবে

কর প্রদানে অটোমেশন বাস্তবায়ন দেশের করদাতাদের আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ হ্রাস করবে এবং এ ডিজিটাল প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে কর আহরণ বাড়বে বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। উল্লেখ্য, গতকাল ঢাকা চেম্বার ব্যক্তিগত আয়কর ও রিটার্ন দাখিল শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন আয়কর আইন-২০২৩ এ করদাতাদের জন্য বেশকিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে পূর্বে রিটার্ন দাখিলে ২৯টি ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার বিধান ছিলো, বর্তমানে তা ১২টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতি সমন্বয় সংক্রান্ত আইনি বিধান সহজ করা, আয়কর নিজে মূল্যায়নসহ আয়কর দাতাদের উদ্দেশ্যে আরও অনেক সুবিধাজনক বিধান নতুন আইনে যুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।


ডিসিসিআই সভাপতি জানান, আয়কর  প্রদানের পূর্বে সকল করদাতার নতুন আয়কর আইন বিষয়ে অবগত হওয়া উচিত এবং এই কর্মশালার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উল্লেখিত আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবগত হবেন, যা তাদের নিয়মানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।  


কর্মশালায় এসএমএসি আইটি লিমিটেডের পরিচালক এবং ঢাকা চেম্বারের কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর ও এনবিআর বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশিস বড়ুয়া এফসিএ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি নতুন আয়কর আইন ২০২৩-এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি আয়কর হিসাব এবং রিটার্ন দাখিল বিষয়ে সম্যক ধারণা প্রদান করেন। এছাড়াও, অতিরিক্ত কর্তনকৃত কর ফেরত, মূলধনী আয়, শেয়ার ভিত্তিক পেমেন্ট, কর অব্যাহতি, ব্যবসা হতে আয়, ভাড়া হতে আয়, আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয়, সময়সীমা পার হওয়ার পর রিটার্ন দাখিল প্রভৃতি বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন। 


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপীল ও রেয়াত) মো. ইকবাল হোসেন জানান, আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দুর্ভোগহীন করাই নতুন আয়কর আইনের উদ্দেশ্য। তবে সকল করদাতাকে নতুন এই আইনের বিষয়ে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই সময়োপযোগী কর্মশালার আয়োজন করায় ঢাকা চেম্বারকে স্বাগত জানান। তিনি আরও জানান, ডিজিটাল অটোমেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর বিভাগ এবং করদাতার মধ্যে একটি আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।