এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত
-1180629.jpg?v=1.1)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন অতিরিক্ত কমিশনারও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ— এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, মোংলা কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আ’লা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং অ্যাকাডেমির যুগ্ম কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির এবং খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদেশে বলা হয়, সরকার গত ১২ মে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে। এর বিরোধিতা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি চলাকালীন দায়িত্বরত কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনে বাধা প্রদান এবং কাজ ত্যাগ করে রাজস্ব ভবনে আসতে বাধ্য করতে সংগঠকের ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেছেন এই কর্মকর্তারা। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে; সেহেতু, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৩৯ (১) অনুযায়ী তাঁদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক তাঁরা খোরপোশ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এনবিআরের আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের ২০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।