বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাস বন্ধে রাস্তায় রিয়াজ, মাহি, নিপুণ, ফেরদৌসসহ একঝাঁক তারকা
কিছুদিন ধরেই দেশে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধ চলছে। হরতাল-অবরোধের এই সময়ে দেশের কোথাও গাড়ি পোড়ানো এবং সহিংসতার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্পীদের কেউ কেউ। শিল্পীসমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে মানববন্ধন করেছেন শিল্পীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দেশে আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
‘ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পীসমাজ’ স্লোগানে শাহবাগে মানববন্ধন করে শিল্পী ও কলাকুশলীরা বলেন, ‘জনগণের পেটে লাথি মেরে কোনোভাবেই জনগণের জন্য কাজ করা যায় না। হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি জনগণের ক্ষতি করছে। যাঁরা নিম্নবিত্ত, তাঁদের তারা হত্যা করছে আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে। পুলিশ মারা যাচ্ছে, সাংবাদিক আহত হচ্ছেন। এসব আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে নেতিবাচক রাজনীতিকে তুলে ধরছে। আমরা এটা চাই না।’
ব্যানার হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন বিনোদন অঙ্গনের অভিনেতা, নায়ক-নায়িকা ও গায়ক-গায়িকারাও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, ফেরদৌস, নিপুণ, মাহিয়া মাহি প্রমুখ। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, শম্পা রেজা, শমী কায়সার, এস ডি রুবেল, ধ্রুব গুহ, অভিনয়শিল্পী খায়রুল আলম সবুজ, নিমা রহমান, তুষার খান, সুইটি, তারিন, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, পরিচালক মুশফিকুর রহমান, সালাহউদ্দিন লাভলুসহ অনেকে।
নায়িকা নিপুণ আক্তার বলেন, ‘শেখ হাসিনাতেই তো আমাদের আস্থা। কারণ, আজ আমি অভিনয়শিল্পী থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছি একমাত্র তাঁর কারণে। আজ যাঁরা নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন, তার অন্যতম কারণ শেখ হাসিনা। হরতাল-অবরোধের কারণে আমাদের কর্মচারীরা কারখানায় আসতে পারছেন না। বাসে উঠতে ভয় পাচ্ছেন, এ কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হরতাল-অবরোধ আমরা চাই না।’
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি তার একমাত্র লক্ষ্য, যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করতে পারি এবং আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাঁকে জয়যুক্ত করতে পারি। আমরা শিল্পীরা সবাই নিজ নিজ জায়গায় থেকে যা যা করা দরকার, আমরা মাঠে থাকব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা চাই না, বিএনপি আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করুক।’
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ অভিধান থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। সেই শব্দগুলো আবার ফিরে এসেছে। আমার বাচ্চারা যখন জিজ্ঞাসা করে, “আমরা শুক্র-শনিবার কেন পরীক্ষা দেব? রোববারে কেন অনলাইন ক্লাস করব?” এই শিশুরা বেড়ে উঠছে, এতে তারা কী শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে! অগ্নিসন্ত্রাস, বর্বরতা! এমনিতেই করোনার দুই বছর আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। একজন মানুষের সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’