ঘুসের টাকা গুনে নেওয়া সেই ভূমি কার্যালয়ের সেই সহকারী বরখাস্ত
দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষের পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবদুল কাদির মিয়াকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের জবাবে তিনি জমি খারিজ করে দেওয়ার পর এক ব্যক্তি তাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোনো সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া যায় না।
সম্প্রতি ভূমি অফিসে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে আব্দুল কাদির মিয়ার ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির।
সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ঘুষ না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলতে চান না তিনি।