হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করল টাইগাররা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের কাছে ৬ উইকেট হেরে মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। এতে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে রোহিত শর্মার দল। বিপরীতে হারের বোঝা কাঁধে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হৃদয় ও জাকেরের নৈপুণ্যে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ভারতকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।
এদিন সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনে খেললেও ৫ ওভার পর থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। দুজনের ব্যাটে ভর করে অষ্টম ওভারেই দলীয় ফিফটি তুলে নেয় ভারত। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি রোহিত। ৩৬ বলে ৪১ রান করে তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
এরপর শুভমনকে সঙ্গ দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কিংবদন্তি ব্যাটার। ৩৮ বলে ২২ রান করে ২৩তম ওভারে ক্যাচ আউট হন তিনি। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৬৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শুভমান গিল। ১৭ বলে ১৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আইয়ার।
এদিন ব্যাটে ভাল করতে পারেননি আক্সার প্যাটেল। তবে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে গিল। ৯ রানে রাহুলকে জীবন উপহার দেন জাকের আলী। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান তুলতে থাকেন রাহুল।
অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় গিল। ১২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাহুলের ৪৭ বলে ৪১ রান এবং শুভমান গিলের ১২৯ বলের অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে ২১ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়াও তাসকিন ও মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলিং তোপে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী।
তবে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা জাকের প্রথম সেঞ্চুরির সুযোগটি লুফে নিতে পারেননি। ৪৩তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন জাকের আলী। ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান হৃদয়। এদিন পায়ে আঘাত পান হৃদয়। তাই দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না তিনি। তবে ১১৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ২২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।