সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নারী দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১০৪ রান সংগ্রহ করে। সফরকারী ব্যাটারদের ব্যর্থতা স্পষ্ট ছিল, যদিও বোলাররা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা ১৮.৩ ওভারেই ৫ উইকেট হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায়।
ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস অসুস্থ থাকায় টস করেন কারিশমা রামহারাক। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা সাবধানে শুরু করলেও ২৪ রানেই প্রথম ওপেনার মুর্শিদা খাতুন (১২ বলে ১৩) আউট হন। দ্বিতীয় ওপেনার দিলারা আক্তারও ১৬ বলে ২১ রান করে ফিরে যান। এরপর একে একে শারমিন আক্তার (৬), তাজ নেহার (১০) এবং লতা মন্ডল (৫) আউট হন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি, এবং তিনি ৪৩ বলে ৩৩ রান করেন। ফলে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৪ রান।
বিপরীতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে জ্যানেলিয়া গ্লাসগো সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন, আর জেইদা জেমস, অ্যাশমেনি মুনিসা ও অ্যাফি ফ্লেচার ১টি করে উইকেট নেন।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই দুটি উইকেট হারায়। বাংলাদেশের স্পিনাররা ২৬ রানে দুটি উইকেট তুলে নেন, সুলতানা খাতুন নেরিসা ক্র্যাপ্টনকে (৫) বোল্ড করেন, আর ফাহিমা খাতুন জেনাবা জোসেফকে (১০) আউট করেন। কিন্তু ছোট পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য লক্ষ্য তাড়া করা সহজ ছিল। দিয়েন্দ্রা দোটিন ১০ রান করে আউট হলেও, গ্লাসগো (২৫) এবং সাবিকা গজনবি (২৭) দলের জয় নিশ্চিত করেন। শেষ দিকে ১৪ রান করে জেইদা জেমস জয় তুলে নেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন দুটি করে উইকেট নেন, আর রাবেয়া খান ১ উইকেট নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করার পর, বাংলাদেশের জন্য একমাত্র সান্ত্বনা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে একটি জয়।