রেকর্ড গড়া জয়ে শেষ বিদায় টিম সাউদির
নিউজিল্যান্ডের জন্য এ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। তার চেয়েও বড় কথা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটা ছিল লাল বলের ক্রিকেটে টিম সাউদির শেষ ম্যাচ। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিনে পেয়েছেন ১ উইকেট। সেটাও প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জ্যাকব বেথেলের। তবে টিম সাউদির জন্য দিনের শেষটা হয়েছে সুন্দর। তার দল রেকর্ডগড়া ৪২৩ রানের জয় নিয়ে হ্যামিলটন টেস্ট শেষ করেছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫৩ রান করে ইংল্যান্ডকে ৬৫৮ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় হাতে থাকা উইকেটের সংখ্যাও একটা কমে গিয়েছিল সফরকারীদের। টেস্টের ৬ সেশন বাকি থাকলেও ৬৪০ রানে পিছিয়ে থাকা ইংলিশরা যে বড় ব্যবধানে হারছে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দেখার বিষয় ছিল, বিদায়ী টেস্টে টিম সাউদিকে কত বড় জয় উপহার দিতে পারে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ড রেকর্ড গড়েই জিতেছে। মিডল অর্ডারে জ্যাকব বেথেল (৭৬) আর আর জো রুট (৫৪) হাল ধরলেও ১৯ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তাতে রেকর্ড ৪২৩ রানের জয়ে সিরিজে একটা জয় নিয়ে ফিরল কিউইরা। রানের দিক থেকে এটাই টেস্ট ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের যৌথভাবে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই ব্যবধানে জিতেছিল কিউইরা। আর ইংল্যান্ড রানের হিসাবে এত বড় ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের কাছে এর আগে হারেনি, সব দল মিলিয়ে ইংলিশদের টেস্ট ইতিহাসে এটি রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের তালিকায় চতুর্থ।
আগের দিন ১৮ রানে ২ উইকেট হারালেও টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই প্রতিরোধ গড়েন বেথেল-রুট। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১০৪ রান। ইনিংসের ২৬তম ওভারে রুটকে (৬৪ বলে ৫৪ রান) এলবিডাব্লিউ করে জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। হ্যারি ব্রুক (১) উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আগেই ও’রুয়র্ককের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান।
এরপর ওলি পোপের সঙ্গে জুড়ি গড়ার চেষ্টা চালান বেথেল। তবে দলকে ১৬৬ রানে সাউদির বলে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানও (৯৬ বলে ৭৬ রান)। ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে তখন ১৬৬ রানে ৫ উইকেট। পোপ-অ্যাটকিনসন জুটিতে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৯ রান যোগ হয়। এর মধ্যে লাঞ্চও সেরে নেয় দুদল।
লাঞ্চের কিছুক্ষণ পরই প্রথম ইনিংসের মতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। আগের ইনিংসে ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারানো সফরকারীরা এবার ৪ উইকেট হারিয়েছে ১৯ রানে। এ বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ম্যাট হেনরির বলে পোপের (১৭) বোল্ড হওয়া থেকে। এরপর একে একে বিদায় নেন অ্যাটকিনসন (৪৩), ব্রেডন চার্স (১১), ম্যাথিউ পটস (০)। বেন স্টোকস ব্যাটিংয়ে না নামায় সেখানেই থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
ইংলিশদের ২৩৪ রানে আটকে দিতে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্যান্টনার। বিদায়ী টেস্টের শেষ ইনিংসে সাউদি ৩৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া হেনরি ২টি ও ও'রুয়র্ক ১টি উইকেট নিয়েছেন।