আইপিএলে হলুদ জার্সিতে আর দেখা যাবে না মোস্তাফিজকে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) হলুদ জার্সিতে আর দেখা যাবে না বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে। আইপিএলের গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলেছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে এবারের মেগা নিলামের আগেই বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে ছেড়ে দিলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
নিজেদের যে কজন ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, তাদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর ধরে রাখা খেলোয়াড়দের নাম প্রকাশ করে চেন্নাই সুপার কিংস, যেখানে ঠাঁই হয়নি বাংলদেশ ক্রিকেটের অন্যতম এ পোস্টারবয়ের।
আইপিএলের গত আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন মোস্তাফিজ। নিলামে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছিল চেন্নাই। শুরুতে অবিক্রীত থাকলেও এক্সিলারেটেড রাউন্ড থেকে তার জন্য বিড করেছিল দলটি। অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ না দেখানোয় ভিত্তিমূল্যেই তাকে পেয়ে যায় তারা।
পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে গতবার ৯ ম্যাচ খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। শিকার করেছিলেন ১৪ উইকেট। তবে, ইকোনমিক রেটটা বড় বেশি খাপছাড়া ছিল তার ইমেজের সঙ্গে; ওভারপ্রতি গড়ে ৯.২৬ করে রান দিয়েছিলেন গতবারের আসরে।
হলুদ শিবিরের ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকায় যে পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নামটি মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর মধ্য দিয়ে আগামী আইপিএলে ভারতের সাবেক অধিনায়কের খেলা নিয়ে যে সংশয় ছিল, তা কেটে গেছে। অবশ্য মাত্র ৪ কোটি রুপিতে তাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে চেন্নাই। কারণ, তাকে বিবেচনা করা হয়েছে ‘আনক্যাপড’ বা অভিষেক না হওয়া খেলোয়াড় হিসেবে।
আইপিএলে কেবল ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য এই বিশেষ নিয়মটি প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ খেলার বা বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শেষবার থাকার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে সেই ক্রিকেটারকে ‘অ্যানক্যাপড’ হিসেবে ধরা হয়। ধোনি ভারতের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
২০০৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএল যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন থেকেই এই নিয়ম চালু ছিল। ২০২১ সালে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এবার নিয়মটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৪৩ বছর বয়সী ধোনির পাশাপাশি চেন্নাই ধরে রেখেছে টপ অর্ডার ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি রুপি), পেসার মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি রুপি), অলরাউন্ডার শিবাম দুবে (১২ কোটি রুপি) ও রবীন্দ্র জাদেজাকে (১৮ কোটি রুপি)।