নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে ছাত্র-জনতার গণবিক্ষভের মুখে শেখ হাসিনার পলায়নের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে এই বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিসিবি প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক মিছিল, প্রতিবাদ সভা, ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ একাধিক পরিচালকের না থাকা সবমিলিয়ে বেশ জটিল এক অবস্থার মাঝেই আছে ক্রিকেট বোর্ড। এসব ইস্যুতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বকাপের আয়োজন বাংলাদেশ করতে পারতে কি না?
এরইমাঝে ভারতের কাছে দেয়া হয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের। বিসিসিআই সচিব ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই আবেদন। তবে ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পরিচালনা পর্ষদের এক ভার্চুয়াল সভা আজ সেখানেই আসবে সিদ্ধান্ত।
বিসিবির পক্ষ থেকে সেই অনলাইন সভায় যুক্ত হবেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কারণ গতকাল পর্যন্ত নতুন কোনো প্রতিনিধির পরিবর্তন করা হয়নি।
বিসিবি চাইলে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ থেকেও একজনকে প্রতিনিধিত্ব করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যা বড় শঙ্কার।
বিশ্বকাপ নিয়ে সুজন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নারী বিশ্বকাপে আমাদের দিক থেকে যে প্রস্তুতি আছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারব। তার পরও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারও যথেষ্ট সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা কাজ করছে। আপনারা জানেন, এই সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই আমাদের ডাকা হয়েছিল বিশ্বকাপ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
সিইও জানান, ‘দুটি বিষয়ই আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেছি। প্রস্তুতি থেকে সবকিছু। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। কোনোভাবেই বিসিবি বা আইসিসির পক্ষে এটা সমাধানযোগ্য না। সরকার পর্যায়ে যদি উন্নতি হয়, তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।’