ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করতে রাস্তায় আফগানরা
চলছে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে সুপার এইটে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। শান্ত বাহিনীকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিতে উঠে ইতিহাস গড়েছে রশিদ-নবিরা। মঙ্গলবারের ম্যাচে সেমিফাইনালে যেতে ১২.১ ওভারে আফগানদের করা ১১৫ রানের চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হতো বাংলাদেশকে। শুরুটাও তেমন মারমুখি ছিল, কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে টাইগার ব্যাটাররা পারেননি বিগ শট খেলতে, ব্যর্থ হয় দ্রুত রান তুলতে। তবে বাংলাদেশের হারে কপাল পুড়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। টাইগারদের সঙ্গে সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে অজিরা। গ্রুপ ‘এ’ থেকে ভারতের সঙ্গী হয়েছে আফগানিস্তান।
গতকাল এই জয় উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে পড়েন আফগানরা। কাবুল থেকে কান্দাহার, কিংবা জালালাবাদ-পাকতিয়া। সবখানেই একই চিত্র। রাস্তায় নেমে উদযাপন করেন হাজারো আফগান। বাংলাদেশকে ডিএলএস মেথডে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে আফগানিস্তান। নাভিন উল হক শেষ উইকেটটি তুলে নিতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে আফগান ডাগআউট। ইতিহাস গড়ার আনন্দে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি অনেকেই। এমন জয়ের উদযাপন বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব না। তাই আফগানরা নেমে এলেন রাস্তায়। কাবুল, কান্দাহারের মতো বড় বড় শহরে বাস-গাড়ি চলারও কোনো উপায় ছিল না।
রশিদ খান অবশ্য সেসব দেখেননি। তবে এমনটা যে হবে তা আগেই জানিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক। মঙ্গলবার ম্যাচশেষে তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানের মানুষের উদযাপন এখনও দেখিনি। তবে আমি নিশ্চিত, দেশে ব্যাপক উদযাপন হবে। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। সত্যি বলতে আমার কোনো ভাষা জানা নেই অনুভূতি প্রকাশের। পুরো দেশ অনেক গর্বিত হবে। '
রশিদ খান আরও বলেন, 'আমার মতে, সেমি-ফাইনালে খেলাটা দেশের তরুণদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণার উৎস হবে। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এর আগে সেমি-ফাইনাল খেলেছি। তবে এই পর্যায়ে কখনও করিনি। এমনকি সুপার এইটে ওঠাও আমাদের জন্য প্রথম ছিল। অবিশ্বাস্য অনুভূতি এটি। '