সেমিতে যাওয়ার দৌড়ে ভালো শুরুর পরেই পর পর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
সেমিতে ওঠার দৌড়ে ১১৫ রানেই আফগানদের আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হওয়া এই ম্যাচে দারুণ পারফর্মেন্স করেছে বোলাররা।
এদিকে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
রান রেটে এগিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে ১২ দশমিক ১ ওভারের মধ্যেই এই লক্ষ্য ছুঁতে হবে বাংলাদেশকে। তবে ১২ দশমিক ৫ ওভার পর্যন্তও এই সুযোগ থাকছে।
আছে টুইস্ট অব দ্য টেইল। ১২ দশমিক ১ ওভারে বাংলাদেশ ১১৫ রান তুলে ফেললে চার বা ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করতে পারবে।
ছক্কা হাঁকাতে পারলে ১২ দশমিক ৫ ওভার পর্যন্ত আর চার হাঁকালে ১২ দশমিক ৩ ওভার পর্যন্ত সময় পাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে সর্তক শুরু করেন দুই আফগান ওপেনার জাদরান-গুরবাজ। ইনিংসের প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো দলই ফায়দা লুফে নিতে পারেনি। টাইগার বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রান তোলে আফগানরা।
পাওয়ারপ্লের পর আক্রমণে এসেছিলেন সাকিব। তার প্রথম ৫ বল থেকে এসেছিল ৩টি সিঙ্গেল। এরপর ফুললেংথে পেয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাইটস্ক্রিন বরাবর ছক্কা মারেন গুরবাজ।
এরপর বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জুটি হিসেবে একই আসরে ৪ বার ৫০ পেরোয় গুরবাজ-ইব্রাহিম। তবে ইনিংসের ১১তম এসে ভাঙে এই জুটি রিশাদ।
রিশাদকে জায়গা বানিয়ে তাকে খেলতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম। তবে ঠিকমত হয়নি। লং অফে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম হাসান। ২৯ বলে ১৮ রান করলে এই ওপেনার ফিরলে ৫৯ রানে ভাঙে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি।
এরপর বেশ চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে বিদায় করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফেরার আগে ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে আক্রমণে এসেই জোড়া উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়েন রিশাদ। প্রথমে উইকেটে জমে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বিদায় করেন।
রিশাদকে অফ সাইডে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ কাভারে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৫৫ বলে করেন ৪৩ রান তিনি।
এরপর গুলবিদনকেও ফেরান রিশাদ। সৌম্যই ফের ক্যাচ নেন। দুর্দান্ত এক ড্রাইভে সেই ক্যাচ নেন সৌম্য।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের শর্ট লেংথের সিম-আপ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন নবি। তবে সেভাবে হয়নি। মিড অফে সময় নিয়ে ক্যাচ নেন শান্ত।
শেষ দিকে রশিদের ঝোড়ো ইনিংসে ১১৫ রানের পুঁজি পায় আফগানরা। ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফগান অধিনায়ক।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিশাদ। এ ছাড়া তাসকিন ও মোস্তাফিজের শিকার একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। তবে মাত্র ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ রয়েছে।