হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে সহজ জয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয় কলকাতার
একদিকে বইছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, অন্যদিকে আইপিএল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মতোই যেনো ঝড় তুললো কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ১৭তম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে হায়দরাবাদকে ফাইনালে উঠেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে আবারও কালকাতার মুখোমুখি হয় কামিন্সের দল। অনেকেই ভেবেছিল এবারের ফাইনালটা আইপিএলের ইতিহাসের সেরা ফাইনাল হতে পারে। কারণ, দুই দলই সমানে সমান।
তবে দর্শকদের সেই ধরণাকে ভুল প্রমাণ করেছে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালে হায়দরাবাদকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে কলকাতা। হায়দরাবাদকে উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে কলকাতা।
রবিবার (২৬ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ম্যাচে আগে ব্যাট করে কলকাতাকে ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় হায়দরাবাদ। জবাব দিতে নেমে ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা। এতে তৃতীয় শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে কলকাতার খেলোয়াড়রা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতার। ২ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সুনীল নারিন। তবে তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন ভেঙ্কাতেশ আইয়ার। তাকে সঙ্গ দেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কলকাতা। ৩২ বলে ৩৯ রান করে গুরবাজ আউট হলেও ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন ভেঙ্কাতেশ আইয়ার। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়াস আইয়ারের ৩ বলে ৬ রান এবং ভেঙ্কাতেশের ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে ৫৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা।
হায়দরাবাদের হয়ে প্যাট কামিন্স এবং শাহবাজ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। তবে কলকাতার দাপুটে বোলিংয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কামিন্সের দল। দলীয় ২১ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড আউট করে মিচেল স্টার্ক।
পরের ওভারে ট্রাভিস হেডকে ফেরান ভাইভ আরোরা। এরপর এইডেন মারক্রামকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন রাহুল থ্রিপাঠী। তবে নিজের তৃতীয় ওভারে রাহুলকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন স্টার্ক।
এদিন ব্যাট আলো ছড়াতে পারেননি নিতিশ কুমারও। ১০ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ২০ রান করে মারক্রামকে আউট করে হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইনে ধস নামায় আন্দ্রে রাসেল। এরপর শাহবাজ আহমেদ (৮) এবং আব্দুল সামাদ ৪ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করেন হেনরিচ ক্লাসেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ১৭ বলে ১৬ রান করে রানার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
শেষ দিকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১১ বলে ৪ করে উনাদকাট এবং ১৯ বলে ২৪ রান করে কামিন্স আউট হলে ৯ বল হাতে থাকতেই ১১৩ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ।