ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ PM

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের দেওয়া মামুলি পুঁজি তাড়া করতে নেমে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা এলোমেলো দেখাচ্ছিল। মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি আরিফুল ইসলাম। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন তিনি। আর এই জুটির ওপর ভর করে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা।

আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি স্পোর্টস একাডেমি গ্রাউন্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৯০ বলে ৯৪ রান করে বাংলাদেশের রান তাড়ার নায়ক আরিফুল। 
 
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি ওভালের ২ নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে মারুফ মৃধার বোলিং তোপে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। প্রথম তিন উইকেটের সবকটি তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। ১৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ভারত।
 
তবে সপ্তম উইকেটে মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক মিলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। দুইজনই অর্ধশতক তুলে নেন। ৬১ বলে ৫০ রান করে ফেরেন মুশির আর অভিষেক করেন ৭৪ বলে ৬২। শেষ দিকে কোন ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান না পাওয়ায় ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত।
 
বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মারুফ মৃধা। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। রোহানাত দৌল্লা বরসন ও শেখ পাভেজ জীবন পেয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
 
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জিশান আলম। রিজওয়ানকে নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আশিকুর রহমান শিবলী। তবে ২১ রানের মাথায় রিজওয়ান প্যাভিলিয়নে ফিরলে বেশিক্ষণ টেকেননি শিবলিও। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ ব্যাটিং করা এই ব্যাটার ফেরেন দলীয় ৩৪ রানে। 
 
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়েন আরিফুল ইসলাম এবং আহরার আমিন। এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৯০ বলে ৯৪ রান করে আরিফুল যখন আউট হন, তখন জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে বাংলাদেশ।
 
এরপর দ্রুত সময়ের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪৪ রান করে আহরারের আউট হওয়ার সময় জয় থেকে ২ রান দূরে জুনিয়র টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি এবং শেখ পারভেজ জীবন।