ক্যাচ মিসে তরী ডুবল বাংলাদেশের
-1140937.jpg?v=1.1)
আরেকটি রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জয়ের খুব কাছ থেকে হার দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে লড়েছিল তারা ৪৯.৩ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু একাধিক ক্যাচ মিস ও রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারতে হয় টাইগ্রেসদের। তবুও মেয়েদের লড়াকু মানসিকতায় গর্বিত অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল প্রোটিয়ারা। তখনই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু লরা উলভার্টের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে ১৯৮ রানে ৭ উইকেট পড়লে আবারও ম্যাচের রাশ বাংলাদেশ হাতে পায়। কিন্তু মাত্র ৯ রান বাকি থাকতে ইনফর্ম ব্যাটার নাদিনে ডি ক্লার্কের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন স্বর্ণা আক্তার। এর আগে ডিপ মিডে সুমাইয়া আক্তারের হাত থেকেও একটি ক্যাচ ফসকে বাউন্ডারি হয়। সুযোগ হাতছাড়া হয় কয়েকটি রানআউটেরও।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক জ্যোতি বলেন,
“শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়েছে, আমি তাদের নিয়ে গর্বিত। যদিও তারা ড্রেসিংরুমে গিয়ে কাঁদছে, তবুও আজ সবাই ১১০ শতাংশ দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য শেখার বড় অভিজ্ঞতা।”
টাইগ্রেসদের ব্যাটিং শুরুটা ছিল ধীরগতির। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান আসে ওপেনার ফারজানা পিংকি ও রুবাইয়া হায়দারের ব্যাট থেকে। ইনিংস গড়ায় ধীর গতিতেই। জ্যোতি জানান, শুরুতে পরিকল্পনাই ছিল বড় জুটি গড়ার, তবে শেষ পর্যন্ত ১০–১৫ রান কম হয়ে যায়।
দ্রুততম (৩৪ বলে) ফিফটি করে আলো ছড়ানো স্বর্ণা আক্তারের প্রশংসা করেন জ্যোতি। তিনি বলেন,
“আমি অনেকদিন ধরে বলে আসছি, মিডলে স্বর্ণার দক্ষতা আছে। আজ সে প্রমাণ করেছে। যেভাবে ব্যাট করেছে, সবাই উপভোগ করেছে।”
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি। সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রেখেই এগোতে চায় দল। জ্যোতি বলেন,
“আমাদের দলটা তরুণ, কিন্তু দিনদিন তারা আরও উন্নতি করছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই গর্ব করার মতো।”