সহজ ম্যাচ কঠিন করে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
-1041021.jpg?v=1.1)
আফগানিস্তানকে হারাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৪৮ রান। তবে মাঝপথে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন হয়ে উঠেছিল লক্ষ্য তাড়া। শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান সোহানের ২১ বলে ৩১ রানের দৃঢ় ইনিংসে ভর করে ২ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। জয়সূচক রানটি আসে পেসার শরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে, যিনি একাধিক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন।
মাত্র ৫ বল বাকি থাকতেই দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে জাকের আলি অনিকের নেতৃত্বাধীন দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ ইমন আউট হন মাত্র ২ রান করে। এরপর সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন জাকের আলি অনিক। তবে ১৮ রান করে ফিরতে হয় সাইফকে, আর জাকের একপ্রকার একাই লড়াই চালিয়ে যান।
২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শামীম-জাকেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ দল। দুইজনই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে খেলছিলেন। এরপর ৩৩ রানে শামীম এবং জাকের ৩২ রানে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৫ রানে দলের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। তবে সোহান আশা বাঁচিয়ে রেখে দলের হাল ধরেন। অন্যপ্রান্তে যদিও নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও সাইফউদ্দিনরা দ্রুত ফিরলে আশঙ্কার মেঘ কালো হতে থাকে।
১২৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হারের মুখে পড়ে। তবে আশা বাঁচিয়ে রাখা সোহান সেই বিপদ কাটিয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শরিফুল। নিশ্চিত করেছেন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। বিপরীতে আফগানদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখেন শরিফুল-নাসুমরা। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানের দল ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে। তাদের পক্ষে ইব্রাহিম জাদরান সর্বোচ্চ ৩৮ এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম ও রিশাদ।