ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ AM

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে 'ডু অর ডাই' ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে ফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রেখেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। রউফ ও শাহিনদের আগ্রাসী বোলিংয়ে লঙ্কানরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি।  

পরে ১৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৫ রান। ১৫ বলে ২৪ রান করা শাহিবজাদাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন থিকসানা। একই ওভারে ফেরেন ফখর জামানও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৭ রান। আর সাইম আইয়ুব ৩ বলে ২ রান করে হাসারাঙ্গার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। 

অধিনায়ক সালমান আলি আগাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৬ বলে ৫ রান করে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে ছোট্ট একটা জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখার চেষ্টা করেন হুসেইন তালাত ও মোহাম্মদ হারিস। ১১ বলে ১৩ রান করে চামিরার বলে বোল্ড হয়ে হারিস ফিরলে ভাঙে তাদের ২৫ রানের জুটি।

এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ ও তালাত মিলে ৪১ বলে ৫৮ রানের জুটিতে ১২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ে ফাইনালের পথে টিকে রইলেন শাহিন-সালমানরা।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মহেশ থিকশানা। এছাড়া চামিরা পেয়েছেন ১ উইকেট। 

এর আগে, টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭.৩ ওভারের মধ্যে দলের খাতায় ৫৮ রান যোগ করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। তবে কামিন্দুর কল্যাণে শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে দলের খাতায় লড়াইয়ের পুঁজি তুলে নেয় তারা।

এই ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বল পড়তে ভুল করে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন কুশল মেন্ডিস (০)। এক ওভার পর আবারও শাহিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৭ বলে ৮ রান করে কট বিহাইন্ড হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন কুশল পেরেরা ও চারিথ আসালাঙ্কা। 

তবে ১২ বলে ১৫ রান করে কুশল আউট হওয়ার পরই চাপ বাড়তে থাকে লঙ্কান শিবিরে। ১৯ বলে ২০ রান করে দলীয় ৫৮ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। ক্রিজে নেমেই হুসাইন তালাতের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দাসুন শানাকা (০)। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন কামিন্দু। তবে ১৩ বলে ১৫ রান করে দলীয় ৮০ রানে বিদায় নেন হাসারাঙ্গা।

পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট হুসাইন তালাতের আর ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ।