বাংলাদেশের লঙ্কা বধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ AM

এশিয়া কাপে লঙ্কা বধ করল টাইগাররা। গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় টাইগাররা। আর সেই ম্যাচে লঙ্কানদের ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দারুণভাবে সুপার ফোর অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। তবে দলীয় ১ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করেই বিদায় নেন। পরবর্তীতে সাময়িক সেই চাপ সামলে নেন সাইফ হাসান এবং লিটন দাস। একসময় ৫০ রানের জুটিও পার করেন এই দুই ব্যাটার। 

তবে দলীয় ৬০ রানে লিটন ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। এরপর সাইফ একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলতে থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। তখন ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন হৃদয়। এরপর ৪৫ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেন সাইফ।

যদিও বোলিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তবে স্লগ ওভারে মুস্তাফিজ ছাড়া আর কেউই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেনি। তাতে দেড়শ ছাড়ান সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা।

দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেছেন দাসুন শানাকা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের কাছে ছক্কা হজম করেন শরিফুল ইসলাম। আক্রমণাত্মক শুরু করা লঙ্কানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম ওভারের শেষ বলটি ভালো লেংথে করেছিলেন তাসকিন। মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর থেকে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা, টাইমিং ভালো না হওয়ায় ডিপ মিডউইকেটে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ২২ রান করেছেন এই ওপেনার।

নিশাঙ্কা ফিরলেও আরেক ওপেনার মেন্ডিস রানের চাকা সচল রাখেন। ফলে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তবে পাওয়ার প্লে শেষে রানের চাকায় লাগাম দেয় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে চতুর্থ বলে শেখ মেহেদিকে সুইপ করতে যান মেন্ডিস কিন্তু টপ এজ হয়ে বল উপরে উঠে যায়, ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ার লেগে এবারও বল তালুবন্দি করেন সাইফ। ২৪ বলে ৩৪ রান করেছেন সাইফ। এরপর কামিল মিশরা-কুসাল পেরেরারা সুবিধা করতে পারেনি। এই সময়ে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন দাসুন শানাকা ও চারিথ আসালঙ্কা। 

বিশেষ করে শানাকা রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার আসালঙ্কা ১২ বলে করেছেন ২১ রান। তাতে দেড়শ পেরিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া শেখ মেহেদি দুটি ও তাসকিন আহমেদ একটি উইকেট পেয়েছেন।