১৩৩ রান করলেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়
-1161003.jpg?v=1.1)
স্পিন আক্রমণে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ, বিশেষ করে অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। তার ঘূর্ণির সামনে টিকতে না পেরে দ্রুত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের টপ অর্ডার। যদিও শেষ দিকে দাসুন শানাকার ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে কিছুটা লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা করে ১৩২ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদি।
প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপরে করা লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে সীমানায় তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন কুশল মেন্ডিস।
অপর প্রান্তে শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শেখ মেহেদি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেহেদির বলে স্লিপে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা। নিজের পরের ওভারে দীনেশ চান্দিমালকেও ফেরান মেহেদি।
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। তবে ইনফর্ম এই ব্যাটারকেও থিতু হতে দেননি মেহেদি। তার ঘূর্ণিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৮ বলে ৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন আসালঙ্কা।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝেও এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। ফিফটির পথে হাঁটতে থাকা এই ওপেনারকেও থামিয়েছেন মেহেদি। এই অফ স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪৬ রান করেছেন পাথুম।
লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে কামিন্দু মেন্ডিস ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তবে উইকেট থিতু হলেও দলের বিপদে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তাকে ২১ রানে ফিরিয়েছেন শামীম হোসেন।
৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন দাসুন শানাকা। জেফার ভন্ডেরসাই তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ১৪ বল খেলে ৭ রান করেছেন তিনি। শেষদিকে ভালো ফিনিশিং দিয়েছেন শানাকা। ২৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ১১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম।