পিএসএলে নিজেকে প্রমাণ দিলেন সাকিব

হারলে বিদায়, জিতলে ফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখা—এমন সমীকরণ সামনে রেখে গতকাল এলিমিনেটর ম্যাচে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয় লাহোর কালান্দার্স।
দলে আগে থেকেই ছিলেন রিশাদ হোসেন, পরে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে আরও এক বাংলাদেশি ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজকেও স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করে লাহোর।
তবে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার থাকলেও একাদশে সুযোগ পান কেবল সাকিব। যদিও বল হাতে খুব বেশি সুযোগ মেলেনি তার। তিনি মাত্র ১ ওভার বোলিং করেই ৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট শিকার করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯০ রান তুলেছিল করাচি। ইনিংসের ৮ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই এ রান পেরিয়ে গেছে লাহোর। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ সে ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের দল।
এর আগে গত রোববার পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় ৬ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল সাকিবের। সেই ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক মারার পর বল হাতে ২ ওভারে ১৮ রান দিলেও শেষ পর্যন্ত উইকেটশূন্য ছিলেন। সে আক্ষেপ পূরণ করেছেন গতকাল।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নামা করাচির শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারেই মাত্র ১ উইকেটে ৭০ রান তোলে করাচি। উইকেটের এক প্রান্তে তখন ২৪ বলে ৪৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আরেক প্রান্তে সদ্য উইকেটে নামা জেমস ভিন্স (৫ বলে ২ রানে তখন)।
এমন পরিস্থিতি সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। বিধ্বংসী রূপে থাকলেও ওয়ার্নার সাকিবের দুটি বলে মুখোমুখি হয়ে দুটি সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন। ভিন্স নিয়েছেন দুটি সিঙ্গেল। আর ওভারের শেষ বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মোহাম্মদ নাইমের হাতে ধরা পড়েন ভিন্স (৯ বলে ৪ রান)।
৪ রানে ১ উইকেট নিয়ে ওভার শেষ করলেও সাকিবকে আর বোলিংয়ে আনেননি লাহোর অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। অন্যদিকে ওয়ার্নারের ৫২ বলে ৭৫ ও শেষ দিকে ইরফান খান (১২ বলে ১৮), খুশদিল শাহ (১৪ বলে ২৭) ও মোহাম্মদ নবীদের (১০ বলে ১৬) ক্যামিওতে ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় করাচি।
রান তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি করাচিকে। আবদুল্লাহ শফিকের ফিফটি (৩৫ বলে ৬৫) এবং ফখর জামান (২৪ বলে ৪৭), কুশল পেরেরা (২৪ বলে ৩০) ও ভানুকা রাজাপাকশেদের (১২ বলে অপরাজিত ২৩) দৃঢ়তায় সহজেই ম্যাচটা জিতে যায় লাহোর।