বাস ও সিএনজিচালকদের মধ্যে সংঘর্ষ; ২ বাস ৫ সিএনজিতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭ AM
ভোলায় বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি বাস এবং পাঁচটি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয়েছে, এবং সাতটি বাস ও পাঁচটি সিএনজিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের কারণে ওই সময় এলাকায় সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাত ১০টা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে ছিল। পরে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ভোলা জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডটি ভোলা সদর পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বাস মালিক সমিতি। বাসস্ট্যান্ডের অভ্যন্তরে থাকা সিএনজি চালকদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়। কিন্তু সিএনজি চালকরা ওই আদেশ অমান্য করে বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হননি। এর ফলে সন্ধ্যায় বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়, পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। ১২ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভোলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সেলিম জানিয়েছেন, সিএনজি চালকরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাসস্ট্যান্ডটি দখল করে রেখেছিল এবং বাস চালক ও শ্রমিকদের মারধর করে আসছিল। মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।

অন্যদিকে, সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেছেন যে, বাস মালিক সমিতি সিএনজি চালকদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের বেশ কয়েকটি সিএনজি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভোলা সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মামুন জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।

ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা চলছে।