দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
![ট্রেন](https://citizenjournal24.com/resources/img/article/202406/poster_-_2024-06-01T132910.938_-1010129.jpg?v=1.1)
দীর্ঘ সাড়ে ১৩ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল। আজ শনিবার (০১ জুন) সকাল ১০টায় ৬৮৭ যাত্রী নিয়ে মোংলার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে কমিউটার ট্রেনটি।
এই রুটের দূরত্ব ১৩৮ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার। মাত্র ৮৫ টাকা ভাড়ায় বেনাপোল যাওয়া যাবে মোংলা থেকে। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ছয় দিন চলবে মোংলা কমিউটার ট্রেন। সপ্তাহের বাকি ৬ দিন মোংলা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১ টায় এবং বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল ১০টায় কমিউটার ট্রেনটি ৬৮৭ যাত্রী নিয়ে বেনাপোল থেকে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ট্রেনটি নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর মোংলায় যাবে। পরবর্তীতে এ রুটে ট্রেন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা রয়েছে।’
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার জানান, এখনও খুলনা-মোংলা রুটের জন্য জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। আপাতত রেলওয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে জনবল এনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ১ নভেম্বর খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেল লাইনের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, খুলনা-মোংলা পোর্ট রেলপথ প্রকল্প একনেকে পাস হয় ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর। এরপর আনুষঙ্গিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রূপসা ব্রিজের ওপর রেলসেতুসহ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সন এন্ড টুরবো লি. (এলএনটি) রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু তৈরির কাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতের অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের মুন ব্রাদার্স জয়েন্ট ভেঞ্চার (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশনের কাজ।
বেশ কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। শেষ দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছিল চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়ার পর সময় লেগেছে সাড়ে ছয় বছর।
প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই তৃতীয়াংশ বিনিয়োগ ভারত সরকারের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের।