মোংলা বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ আসার নতুন রেকর্ড
বর্তমানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যিক হাব হয়ে উঠছে মোংলা সমুদ্রবন্দর। এক মাসে ৮টি কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন রেকর্ড করেছে মোংলা বন্দর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সর্বশেষ এই বন্দরে মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী ‘মার্কস হাই পং’ কনটেইনারবাহী জাহাজ আসে। আর তাতেই মোংলা বন্দরের জেটিতে কনটেইনার আসার সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরটি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান।
তিনি বলেন, এক মাসে সর্বোচ্চ কনটেইনার জাহাজ আসায় নতুন মাইলফলক তৈরি হলো। চলতি মাসে সর্বোচ্চ ৮টি কনটেইনার জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়। এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়েছে।
মো. মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর জেটিতে সিংগাপুর পতাকাবাহী ‘কোটা টেনেগা’ এবং এমভি ‘কোটা রানচাক’, ‘এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক’, ‘এমভি মার্কস কুইনজু’, ‘এমভি মার্কস চট্টগ্রাম’, ‘এমভি মার্কস ঢাকা’ বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে কন্টেইনার জাহাজ আসছে। মোংলা বন্দরে আধুনিক সুযোগ সুবিধা এবং বন্দরে আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে কনটেইনার খালাস-বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।
মোংলার উপপরিচালক আরও বলেন, একই সঙ্গে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কনটেইনারবাহী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধপরিকর।
আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।