মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে দুই নারীর হাতে খুন হলেন বাবা
সন্তানদের মানুষ করতে কত আত্মত্যাগই না করেন বাবা’রা। এবার তারই এক নজির গড়লেন আমজাদ হোসেন। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলীতে। প্রতিবেশী দুই নারীর লাঠির আঘাতে আমজাদ হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আমজাদ ওই গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির উঠানে বেঁধে রাখা ভেড়ার পালের দড়ি খুলে দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে উপজেলার লাঠিমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার গাবতলী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে লাঠিমারা গ্রামে ববিতা বেগমের বাড়ির উঠানে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ভেড়ার পালের বাঁধন অজ্ঞাত কেউ খুলে দেয়। কয়েক ঘণ্টা পর পালে থাকা ৮টি ভেড়া তিনি খুঁজেও পান। তিনি নিহত আমজাদের মেয়ে ফাতেমাকে দড়ির বাঁধন খুলে দেওয়ার জন্য সন্দেহ করেন ও উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বুধবার বিকেলে আবারও ভেড়ার পালের দড়ি খুলে দেওয়ার জের ধরে ববিতা তার বান্ধবী চামেলিকে নিয়ে ফাতেমাকে মারপিট শুরু করেন। মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে আমজাদকেও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুই নারীর লাঠির আঘাতে আমজাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।