৪০ লাখ টাকার সোনার বারসহ বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আটক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ দুজনকে চারটি সোনার বারসহ আটক করেছেন কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থার সদস্যরা।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১০-১১টা নাগাদ বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাঁদের আটক করা হয়। বিমানবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সকালে শারজাহ থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার জি-৯৫২৬ ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বিমানের যাত্রী আলাউদ্দিন অবৈধভাবে নিয়ে আসা সোনার বারগুলো ডা. শরীফকে দেন। মূলত ওই চিকিৎসক সোনার বারগুলো নিরাপদে পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। পরে শুল্ক গোয়েন্দার লোকজন তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তাকে স্ক্যান করে সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম।
বিমানবন্দর কাস্টমসের তথ্যমতে, আটক ব্যক্তির নাম এম জেড এ শরীফ। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অধীন বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ২৭তম বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা চারটি সোনার বারের ওজন ৪৬৪ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি উড়োজাহাজ আজ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসে। উড়োজাহাজে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফের এক আত্মীয় আসেন। আলাউদ্দিন নামের এই যাত্রীর কাছ থেকে চারটি সোনার বার নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে পাচার করতে যাচ্ছিলেন শরীফ। এ সময় তাঁকে সন্দেহ হয় বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তাদের। তাঁরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন। তাঁকে স্ক্যানিং গেটে নেওয়া হয়। তল্লাশি করে তাঁর কাছে চারটি সোনার বার পাওয়া যায়। আটক বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমসের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটটির যাত্রীরা উড়োজাহাজ থেকে নেমে ইমিগ্রেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফ ইমিগ্রেশনের সামনে থাকা ওয়াটার ফিল্টার থেকে পানি পান করতে যান। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন নামের যাত্রীর কাছ থেকে শরীফের কিছু একটা নেওয়ার দৃশ্য কাস্টমসের কর্মকর্তাদের চোখে পড়ে। এরপরই তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর কাছ থেকে সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিমানবন্দর কাস্টমসকে সহযোগিতা করেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাদের কেউ জানায়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’