৮ দিন পর অবশেষে উদ্ধার হলো ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা
গত ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপসহ ডুবে যায় রজনীগন্ধা ফেরি। অবশেষে দীর্ঘ আট দিনের অভিযানে উদ্ধার করা হয় ফেরি ‘রজনীগন্ধা’। সেইসঙ্গে ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহনও উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া শক্তিশালী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে থাকা ফেরিটিকে সোজা করে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়াতে সক্ষম হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন।
এর আগে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ ও ‘হামজা’ দিয়ে ডুবে থাকা তিনটি মালবাহী যানবাহন উদ্ধার করে।
শাহ পরান ইমন বলেন, ‘নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্য যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ইয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টায় ফেরিটি সোজা করে প্রত্যয়ের মাধ্যমে টেনে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়। এখন সেখানেই ফেরিটি নোঙর করে রাখা হবে।’
গত বুধবার সকাল ৮টায় পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে ৯টি মালবাহী যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা। এসময় নিখোঁজ হন ফেরির ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ূন কবির। পরে ঘটনার ছয়দিন পর হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রথম দুদিনে ডুবে থাকা তিনটি যানবাহন উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার করা হয় ছয়টি যানবাহন।