খোলাবাজার : ডলার দাম বেড়ে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায়
ডলারের দর যেন লাফিয়ে বাড়ছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দর একদিনেই সাড়ে ৪ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায়। বুধবারও যা ছিল ১২২ থেকে ১২৩ টাকা। এর আগে কখনো ডলারের দর এত উঠেনি বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংকগুলো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ১২২ টাকার বেশি দরে ডলার কেনার বিষয়টি জানাজানির পর খোলাবাজারেও নগদ ডলারের দর দ্রুত বাড়ছে। গত সপ্তাহেও প্রতি ডলার ১১৮ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ছিল।
ডলার সংকটের এ সময়ে দর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার মাধ্যমে দর ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এবিবি ও বাফেদার নির্ধারিত দর রয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রির দর নির্ধারিত আছে ১১১ টাকা।
মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মানি এক্সচেঞ্জের কাছে ডলার নেই। যাদের কাছে আছে, তারাও সরাসরি ডলার বিক্রি করছেন না। পরিচিত কারো মাধ্যমে ডলার বিক্রি করছেন।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ডলারের সংকট কমাতে রেমিট্যান্স আহরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো রেমিট্যান্সের ডলারের দাম হঠাত্ করে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে, অনেক ব্যাংককে বাধ্য হয়ে ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) জরুরি সভায় রেমিট্যান্সে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ডলার সংকট বাড়ে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু, তাতে সংকট আরো প্রকট হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।