৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের পর পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনায় লালমনি এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং অন্তত পাঁচ যাত্রী আহত হন।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রেলস্টেশনের কাছে বিডিআর গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।
দুর্ঘটনার পর বিকেলে লালমনিরহাট রেল বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবু আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিলম্বে লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছে যাত্রী নামিয়ে দেয়। এরপর সেটি ওয়ার্কসেডের দিকে পরিষ্কারের জন্য অগ্রসর হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিপরীত দিক থেকে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৬৬ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা করে। এক লাইনে থাকা অবস্থায় ট্রেন দুটি মুখোমুখি চলে আসলে, কমিউটার ট্রেনটি লালমনি এক্সপ্রেসের পেছন দিকে ধাক্কা দেয়। এতে এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং রেললাইন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও নিরাপত্তা কাজে সহায়তা করেন।
বিডিআর গেট এলাকার রশিদুল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিনের মতো এক্সপ্রেস ট্রেনটি লোকসেডে ঢোকার আগমুহূর্তে আচমকা কমিউটার ট্রেনটি এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
রেলওয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা আরএমবি বেনজির আহমেদ বলেন, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং উদ্ধারকাজ দ্রুত চালানো হয়েছে।
রেলওয়ের লোকো দপ্তরের ডিএমই সাজিদ হাসান নির্ঝর বলেন, ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।