বৈধতা পেলে বাড়বে বিশৃঙ্খলা কিংবা দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৪, ০৭:২৮ PM

নীতিমালা ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের বৈধতা দেওয়া হলে ঢাকা শহরে এ ধরনের যান দ্বিগুণ হবে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে সড়কে বিশৃঙ্খলা কিংবা দুর্ঘটনা। তাই ব্যাটারিচালিত যান বৈধতা দেওয়ার আগে নীতিমালা করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

যন্ত্রের সাহায্যে চলে এমন যানবাহনের অনুমোদন দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। নছিমন, করিমন, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত রিকশাকে যানবাহনের মর্যাদা দেয়নি বিআরটিএ। এসব যানের কোনো নীতিমালা ও নিবন্ধন নেই। চালকদেরও নেই কোনো আইনি সুরক্ষা। আবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিধিমালায় ব্যাটারিচালিত যানের বিষয়ে কিছু বলা নেই। তাই এখন পর্যন্ত এসব যান অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা কোন সড়কে চলবে তার নীতিমালা করে দেওয়া উচিত। মূল সড়কে যেখানে বাস ও ভারী গাড়ি চলাচল করছে সেখানে কোনোভাবেই এসব অটোরিকশা চলতে দেওয়া উচিত নয়। এতে দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়বে।’

ব্যাটারিচালিত রিকশা কোন সড়কে চলবে তার নীতিমালা করে দেওয়া উচিত। মূল সড়কে যেখানে বাস ও ভারী গাড়ি চলাচল করছে সেখানে কোনোভাবেই এসব অটোরিকশা চলতে দেওয়া উচিত নয়। এতে দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়বে।- অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান

‘আমাদের ঢাকা শহরে মাত্র আড়াই শতাংশ সড়ক বাস চলাচলের জন্য উপযোগী। অন্য সড়কে বাস প্রবেশ করতে পারে না। শাখা সড়ক কিংবা অলিগলি যেখানে বাস প্রবেশ করতে পারে না সেসব সড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত যান বা রিকশার কাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আছে। তবে এটা যে আরও ইম্প্রুভ করার সুযোগ নেই তাতো নয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা রোধে এর ব্রেকিং সিস্টেম, ফ্রন্টডোর, ব্যাকডোর থেকে শুরু করে সবকিছু উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। এ গাড়িগুলোর মূল সমস্যা ব্যাটারির সঙ্গে মোটর যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ব্রেক চাপলেও মোটর ঘুরতে থাকে। একটা ছোট্ট প্রযুক্তি রয়েছে, যা বসিয়ে দিলে ব্রেক করলে মোটরও বন্ধ হয়ে যাবে। তার মানে এ ধরনের যানবাহন নিরাপদ করার সুযোগ আছে।’