মুহুর্তেই দেবে গেল ৭৬৩ কোটি টাকায় নির্মিত রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১১ AM

৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা বছর না পেরোতেই দেখা দিয়েছে ভাঙন। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এর মধ্যেই দু’বার সংস্কার করা হয়েছে। প্রকল্পের রাস্তার পাশে ড্রেন থাকার কথা থাকলেও অনেক জায়গাতেই তার অস্তিত্ব নেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবসংযুক্ত শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়ার কয়েকটি এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এসব অভিযোগ।

গতকাল রাস্তা দেবে যাওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় এসব এলাকার উন্নয়নে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৭৬৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার বছর না পেরোতেই এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।

৭৬৩ কোটি টাকার রাস্তা বছর না পেরোতেই ভাঙন

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় বড় বড় ফাটল ধরে দুপাশে ভেড়ে পড়ার কারণ দুর্বল পাইলিং। তারা রোডের মধ্যে ঠিকমতো রডের ব্যবহার করে নাই। কাজের মধ্যেই অনেক গাফিলতি করেছে। এজন্য এক বছর না যেতেই রাস্তার অনেক জায়গা ভেঙে পড়েছে। এখন ঠিকমতো যানবাহন চলতে পারছে না।

দাবি করা হয় যে, রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই ডভেঙে যায়। পরে দুই দফা জোড়াতালি দিয়ে ভাঙন, ফাটল ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কাজ চলাকালে বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কেউ কর্ণপাত করেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই কাজ শেষ হতে না হতেই এসব রাস্তা ভেঙে পড়েছে।

৭৬৩ কোটি টাকার রাস্তা বছর না পেরোতেই ভাঙন

এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজে নিচের লেয়ারগুলো করার সময় যদি ঠিকমতো না করে বা কোন ত্রুটি থাকে তাহলে উপরে যত ভালো কিছুই ব্যবহার করা হোক না কেন সে রাস্তা টেকসই হয় না। নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়া জবাবদিহীতার অভাবের কারণে দেখা যায় কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলো নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করছে, যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা-ঘাট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।