ডেমরায় গোডাউনে আগুন; ৮ ঘণ্টা পর নিয়নন্ত্রণে
ডেমরার প্রেস এলাকায় ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন লাগার প্রায় ৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাজধানীর ডেমরাতে একটি কাপড়ের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে এখনও।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম।
এর আগে বৃহস্পতিবার আগুনের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। কিন্তু তাদের ৫ ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে যোগ দেয় নৌবাহিনীও।
এদিকে কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনেই আগুন লাগা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে গিয়ে তারা দেখতে পায়, কোনো ফায়ার এক্সিট নেই ভবনটিতে, ভেতরে ঢোকার সিঁড়িও খুবই সংকীর্ণ। পাশের অন্য ভবন থেকে পানি দেওয়ার সুব্যবস্থাও নেই, কারণ ভবনগুলো সব লাগোয়া। শুধু তাই নয় ভবনটির নিচে ছিল না নিজস্ব কোনো ওয়াটার রিজার্ভও।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ভবনটির নিচে যে ওয়াটার রিজার্ভ থাকার কথা ছিল সেটি আমরা পাইনি। শুধু তাই নয়, এই আগুন লাগা ভবনের আশপাশে যেসব ভবন রয়েছে সেখানেও আমরা পানির রিজার্ভ পাইনি। এসব কারণে আগুন নেভাতে খুব বেগ পেতে হয়েছে আমাদের।
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেছি, দেখেছি। ভবনের যে অবকাঠামোগত স্ট্রেন্থ সেটা আর নেই। একেবারে কমে গেছে। ভবনটির এক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুন লাগার পর কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে ভবনটি।
আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মো. রেজাউল করিম। তবে তিনি বলেছেন, কারো অবস্থা গুরুতর নয়। কেউ সামান্য আহত হয়েছেন। কেউ শ্বাস কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির মালিক কে তা এখনও জানা যায়নি; তাকে খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ভবনের মালিক কে তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। তাকে খোঁজা হচ্ছে, যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।