উৎসবকে কেন্দ্র করে জমছে ফুলের বাজার
পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ আগামী দিনের অন্যান্য দিবসগুলোর বাজার ধরতে প্রস্তুত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালির ফুল চাষিরা।
বিশেষ করে বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের বাকি মাত্র এক দিন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বাকি আছে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তাই ফুল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরো গদখালি পানিসারা অঞ্চল সেজেছে ফুলের সাজে। চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠায় মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফুল। সামনে আসন্ন বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও মাতৃভাষা দিবসসহ অন্যান্য দিবসের বাজার ধরতেই এই প্রস্তুতি চাষিদের।
ফুলের রাজধানী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, পানিসারা ও এর আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদা, রড স্টিক, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল।
চলতি মৌসুমে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাসহ অন্যান্য দিবসগুলোর বাজার সামনে রেখে তা পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন চাষিরা।
উৎসব পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে, পোকার আক্রমণ ও পচন রোধে নিচ্ছেন পরিচর্যা। চাষিদের দাবি, চাহিদা থাকায় উৎসব এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফুলের দাম বাড়বে এবং তারা লাভবান হবেন।
ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের সৈয়দপাড়ার ফুল চাষি পারভেজ বলেন, ‘আমি ৫ বিঘা গাঁদা ও ২ বিঘায় রজনিগন্ধা চাষ করেছি। ভালোবাসা দিবসে রজনীগন্ধা ও ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাদা ফুল বিক্রি করব। এজন্য এখন ফুলের পরিচর্যা করছি। বিশেষ করে ফুল ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি ভালো দামে ফুল বিক্রি করতে পারব।’
পানিসারা গ্রামের ফুল চাষি কুরবান আলী বলেন, ‘আমার ২ বিঘা ৪ কাটায় গোলাপ বাগান রয়েছে। আমার বাগানের গোলাপগুলো লংস্টিক এবং লাল, সাদা, হলুদ, কমলা ও গোলাপি রঙের। এ ধরনের ফুলের ভালোবাসা দিবসে বেশ চাহিদা থাকে।’
তিনি জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছে এখন নতুন কুঁড়ি রয়েছে। এগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ভিটামিন স্প্রে করা হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসের আগেই ফুলের দাম বাড়বে।