আজও রাস্তা অবরোধ করে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত কয়েকদিন ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজও রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে বন্ধ রয়েছে সড়কে যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। নীলক্ষেত মোড় থেকে আজিমপুর পর্যন্ত এবং সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত ছাড়িয়েছে গাড়ির সারি। এমন অবস্থায় উপায়ন্তর না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন মানুষজন।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে থমকে পড়েছে পুরো নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাবসহ আশপাশের এলাকা। নীলক্ষেত থেকে সায়েন্সল্যাব অভিমুখের সড়ক, শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব অভিমুখের সড়ক, ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্সল্যাব অভিমুখের সব সড়কেই তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এই সড়কগুলোতে আটকে থাকা যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
অবরোধের ফলে আটকে পড়া বিআরটিসি বাসের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, খুব ঝামেলায় পড়ছি মামা। বড় গাড়ি। এখান থেকে যে ঘুরিয়ে যাব সেই সুযোগও নেই। কতক্ষণ এখানে আটকে থাকতে হবে জানি না।
এক পথচারী বলেন, কি বলব? আমাদের কি বলার আছে? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা পড়েছি ঝামেলায়। এখানে অবরোধের কথা তো জানি না। ধানমন্ডি থেকে পায়ে হেঁটে এ পর্যন্ত এসেছি। শনির আখড়া যাব। বাসের জন্য কোন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে হবে তা বলতে পারি না।
অন্য আরেক যাত্রী বলেন, কিছু হলেই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন। এই ভোগান্তি কতদিনে থামবে কে জানে?
অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তারা। সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে অধিভুক্তি বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে —
১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।
২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবে।
৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।