চবিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীর সাথে দেখা করা নিয়ে কোন্দল, হলের রুম ভাঙচুর
সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করায় আলাওল হলের দুটি কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের অনুসারীরা। এমন অভিযোগ তুলেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক। অভিযোগকারী নয়ন মোদক ও অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইলিয়াস দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে আলাওল হলের ৪১৩ ও ৪২৭ নাম্বার রুমে ভাঙচুর চালানো হয়।
নয়ন মোদকের অভিযোগ, গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইলিয়াসকে বাদ দিয়ে নয়ন মোদকের সাথে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্মদিনে কবর জিয়ারত ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার কারণে তার জুনিয়রদের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডিকেও বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ করেছেন নয়ন মোদক।
এ বিষয়ে নয়ম চন্দ্র মোদক বলেন, আমাদের প্রয়াত নেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে উনার কবর জিয়ারত এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নৌকা মার্কায় মনোনীত হওয়ায় উনার সাথে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এ.এফ. রহমান হল ও আলাওল হল থেকে আমার সাথে আমার কর্মীরা যাওয়ার কারনে ইলিয়াস ভাইয়ের কর্মীরা আলাওল হলে থাকা আমার কর্মীদের উপর রাতের আধারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ওদের রুম ভাংচুর ও মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, ভাঙচুরের সময় ইলিয়াস ভাইয়ের কর্মীরা গালাগালি করে বলে যে, ইলিয়াস ভাই ছাড়া আর কারো সাথে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত বা নওফেল ভাইয়ের কাছে যাওয়া যাবে না। গেলে মেরে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এ ঘটনার পর প্রক্টর সহকারী প্রক্টর মুরাদ স্যারকে জানিয়েছি। কিন্তু প্রক্টর স্যাররা কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, খবর পেয়ে আমি আলাওল হলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখিনি। তাই আর হলের ভেতরে প্রবেশ করিনি।
এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইলিয়াসকে একাধিকবার ফোন করা হলে প্রতিবারই তিনি ফোন কেটে দেন।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, খবর পাওয়ার পর সহকারী প্রক্টর এবং নিরাপত্তা কর্মীদের পাঠিয়েছিলাম। তারা সেখানে তেমন কিছু দেখেন নি। তাই ভেতরে প্রবেশ করেননি। এছাড়া আমাদের কাছে কোনো অভিযোগও এখনও আসেনি। অভিযোগ আসলে আমরা ব্যবস্থা নেব৷ তাছাড়া ভাঙচুরের বিষয়টি হলের প্রভোস্ট মহোদয় দেখবেন। তিনি যদি আমাদের কোনো চিঠি দেন তাহলে আমরা এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারব ।