রাবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্য মঞ্চ’-এর বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন, শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন চত্বর ও শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের মিছিলে 'শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'বামদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে', 'শাহবাগীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই' এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শাহবাগবিরোধী ঐক্যের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র কর্তৃক সিদ্ধান্ত আসার পরেও যারা মেনে নেয় না। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শাহবাগে একটা মবতন্ত্র কায়েম করেছিল। তারা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল সেটা ২০২৪-এ এসে ২০ হাজের অধিক ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে ক্লোজ হয়েছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা আবার মিছিল করছে। এজন্য আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা পেছন থেকে মশাল নিয়ে হামলা চালায়। এ হামলার দায় আমরা তাদের ওপর চালাবো।
আরবি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেই মিছিলে বামপন্থিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে শাহবাগবিরোধী মিছিলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের কিছু ভাইকে আহত করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে 'একাত্তর হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা', 'তুমি কে আমি কে, ৭১ ২৪', 'চিহ্নিত রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো', 'রাজাকারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'হেরে গেছে হাসিনা, ৭১ হারেনি' এমন সব স্লোগান দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের অবৈধ মুক্তির ঘোষণা বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করেছিলাম। এ সময় শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। সেখানে শিবিরের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মী এবং শাখা শিবিরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।