আজও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ৯ ডিগ্রিতে; শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
গত কয়েকদিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, হালকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মাঘের এই শীতের তীব্রতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না।
অন্যদিকে, তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড়, গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯%। হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্য প্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে।