আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৯ AM

উত্তর-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান নিকোবারে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি শক্তি অর্জন করে সোমবার বিকাল ৪টার সময় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আম্পানের মতো একই পথে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এর কেন্দ্র প্রায় ১৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ওপরে অবস্থান করছিল। এর কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার। লঘুচাপটির বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই পথে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, লঘুচাপটি আজ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এর প্রভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 

আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অংশে প্রভাব ফেলবে। এটি আগের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। উপকূলে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কবার্তায়  উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হতে পারে। যার ফলে লঘুচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা এই হচ্ছে।

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশঙ্কা করছি। 

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ’ডানা’ ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এটি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপূর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।