শুক্রবার বন্যা কবলিত এলাকায় কমতে পারে বৃষ্টি
ভারতের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনস্থল দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে থাকায় একের পর এক জনপদ ডুবছে। বাড়িঘরে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন এসব জেলার মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে এসব জেলায় বৃষ্টি কিছুটা কমে আসবে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটি এলাকায় বৃষ্টি আরও কিছুদিন থাকবে। এসব এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ থেকে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লায়, ১৮৮ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বর্তমানে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এসব এলাকা উঁচু হওয়ায় বাংলাদেশে ঢলের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়াও সোমবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।