চাঁদে অবতরণ করল মার্কিন মহাকাশযান
-1030304.jpg?v=1.1)
আবারও চাঁদে অবতরণ করেছে আমেরিকার মহাকাশযান। দেশটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান পাঠানোর গৌরব অর্জন করেছে। স্থানীয় সময় রবিবার (০২ মার্চ) ফায়ারফ্লাই তাঁদের ব্লু ঘোস্ট নামের মুন ল্যান্ডারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করাতে সমর্থ হয়। এর মধ্য দিয়ে চন্দ্রপৃষ্টে দু সপ্তাহব্যাপী গবেষণা অভিযান শুরু করল ব্লু ঘোস্ট মহাকাশযানটি।
‘ব্লু ঘোস্ট মিশন ১’ নামের এই অভিযানটি শুরু হয় গত ১৫ জানুয়ারি। কমপ্যাক্ট কার আকারের ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডারটি (২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে চাঁদের মারে ক্রিসিয়াম অঞ্চলে প্রাচীন একটি আগ্নেয়গিরি উৎসের সন্নিকটে অবতরণ করে। চাঁদের পৃথিবীমুখী অংশের উত্তরপূর্ব কোণে অবস্থিত এই অঞ্চলটি ব্যাসল্ট ভর্তি বড় আকারের একটি খাদ বা গর্ত।
উল্লেখ্য, ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস-এর দুটি ‘মুন ল্যান্ডার’ মহাকাশযানের একটি হচ্ছে এই ব্লু ঘোস্ট। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র তৈরি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম চাঁদের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিতে ব্যবহৃত হয় এই দুটি মুন ল্যান্ডার। বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়ার এই কাজটি নাসা’র কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিসেস বা সিএলপিএস উদ্যোগের অংশ হিসেবে করা হয়ে থাকে।
ব্লু ঘোস্ট ল্যান্ডার মডিউলটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ১০টি সরঞ্জাম বহন করছে। এই সরঞ্জামগুলোর সাহায্যে নাসা চাঁদের কাছের দিকে থাকা মারে ক্রিসিয়াম বা সংকট সাগর নামক বড় আকারের একটি ব্যাসল্ট ভর্তি গর্ত থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। ব্যাসল্ট হচ্ছে গাঢ় ধূসর রঙের এক প্রকার আগ্নেয় শিলা।
নাসা তাঁদের কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) উদ্যোগের অধীনে সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায়ে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার (বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জামাদি) চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছাতে চায়। এই লক্ষ্যে তাঁরা আমেরিকান বিভিন্ন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থার সাথে কাজ করছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে টেক্সাসভিত্তিক ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি,