দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির পরিকল্পনা
দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেসিস ডিজিটাল হাব তৈরি করবে
দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির পরিকল্পনায়, বাংলাদেশের আইসিটি খাতে সাফল্য, সম্ভাবনা ও আগামীর গতিশীল বিশ্বের বৈশ্বিক ডিজিটাল হাবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উপস্থাপনে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
আইসিটি খাতের বক্তারা ‘বাংলাদেশ : দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউস’ শিরোনামে সেমিনারে ডিজিটাল হাব প্রসঙ্গে কথা বলেন। বক্তারা বলেন, সারাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ লাখ দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোক্তারা।
সভায় বেসিস প্রশাসক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসিস ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৮টি সদস্য থেকে শুরু করে বর্তমানে ২ হাজার ৬৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠানের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠনে রূপান্তর হয়েছে। সুদীর্ঘ যাত্রায় কয়েক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে বিশ্বমানের স্থানীয় উদ্ভাবনী পণ্য ও পরিষেবা তৈরি করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩৭টির বেশি দেশে ৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার আইসিটি পরিষেবা রপ্তানি করেছে।
নতুন উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সব স্টেকহোল্ডারকে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
মূল বক্তব্যে বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সুদক্ষ জনশক্তি তৈরি সবচেয়ে জরুরি। দেশে বিপুল পরিমাণ মেধাবী যুবশক্তি রয়েছে, যাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। লক্ষ্য অর্জনে বেসিস সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেটা আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) নকশা বাস্তবায়ন, সঠিক আইসিটি মাস্টারপ্ল্যানের রূপকল্প প্রণয়ন ও সবকটি অপরিকল্পিত হাইটেক পার্কের সংস্কার করে তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোকে মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছি। ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, আগের গৃহীত সব প্রকল্পের পর্যালোচনা ও শক্তিশালী ডেটা গভর্ন্যান্স কাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে ৫ শতাংশ অবদান রাখার লক্ষ্য অর্জন করার কথা বলেন বক্তারা।
সূত্র : সমকাল