ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউব সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ AM

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্রমাগত বেড়েছে ইউটিউবের ভিউয়ার ও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা। দৈনন্দিন বিনোদনের বড় এক মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার ও দেখে থাকেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ইউটিউব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান:   

গ্লোবাল মিডিয়া ইনসাইড থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক (আগস্ট ২০২৪) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ইউটিবের মাসিক অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৭০ কোটিরও বেশি। এর মধ্যে ১২ কোটি ২০ লাখ মানুষ প্রতিদিন সক্রিয় থাকেন এই প্ল্যাটফর্মটিতে। ব্যবহারকারীরা দৈনিক ১ বিলিয়ন ঘন্টার ভিডিও কনটেন্ট উপভোগ করে থাকেন ইউটিউবে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে মাসিক অ্যাক্টিভ ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে ইউটিউবের চেয়ে এগিয়ে কেবলমাত্র মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক (৩০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী)।

ইউটিউব ভিউয়ার বা অডিয়েন্সের দিক থেকে শীর্ষ দেশসমূহ

তথ্য ও পরিসংখ্যান সম্পর্কিত জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটিসটিয়া সম্প্রতি ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ২০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত আপডেটেড এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। দেশটির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ (৪৭৬ মিলিয়ন) ইউটিউব ব্যবহার করেন। ২৩ কোটি ৮০ লাখ (২৩৮ মিমিয়ন) ইউটিউব ব্যবহারকারীর দেশ আমেরিকা আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। 

শীর্ষ পাঁচে অবস্থানকারী দেশগুলো হলো: ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকো। ব্রাজিল থেকে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন ১৪ কোটি ৭০ লাখ (১৪৭ মিলিয়ন) মানুষ, অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকো থেকে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ১৩ কোটি ৯০ লাখ (১৩৯ মিলিয়ন) ও ৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার (৮৪.২ মিলিয়ন)। তালিকার প্রথম দশে থাকা বাকী দেশগুলো হলো জাপান, পাকিস্তান, জার্মানি, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনস্‌। 

শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে; ৩ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার (৩৬.৮ মিলিয়ন) বাংলাদেশী ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন। জনসংখ্যার অনুপাতে ইউটিউব ব্যবহারকারীর দিক থেকে শীর্ষ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ ইউটিউব অ্যাক্সেস করে থাকে। জনসংখ্যার ৯২ শতাংশেরও বেশি ইউটিউব ব্যবহার করে এমন দেশ রয়েছে আরও ৩টি- নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্য।  

বয়সের দিক থেকে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের পরিসংখ্যান

অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো ইউটিউবেও তরুণদের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি। প্ল্যাটফর্মটির ২১.৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বয়সভিত্তিক সেগমেন্ট হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৪ (১৭.৯ শতাংশ)। তার ঠিক পরেই অবস্থান ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের (১৫.৭ শতাংশ)। এছাড়া ইউটিউব ব্যবহারকারীদের ১২.৯ শতাংশের বয়স ৪৫ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে কম ইউটিউব ব্যবহার করেন ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা (৯.৪)। আর ৯.৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ৬৫ বা তদুর্ধ্ব। 

ইউটিউবের ডিজিটাল আয়

ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি আয় হয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছে ৭.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী টাকায় ৯৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 

উপরন্তু ইন-অ্যাপ সেবা বিক্রির মাধ্যমে কেবলমাত্র আমেরিকার বাজার থেকেই তাঁদের আয় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (৪১৮ কোটি টাকার বেশি)। অন্যদিকে জাপান থেকে ইউটিউবের উপার্জন ২০.৩ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৪২ কোটি টাকার বেশি)।