টিকটককে আরও ৯০ দিন সময় দিল ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও টিকটককে নিষেধাজ্ঞা থেকে সাময়িক মুক্তি দিলেন। এটি নিয়ে তৃতীয়বারের মতো লাইফলাইন পেল জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১৯ জুন, কিন্তু ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল এক নির্বাহী আদেশে সই করে ট্রাম্প আবারও টিকটকের রক্ষক হিসেবে সামনে এলেন।
এর আগে তিনি দুইবার ৭৫ দিন করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে, যাদের কারণে এবার আরও দীর্ঘ সময় পেল অ্যাপটি।
চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক গত বছর থেকেই আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে পূর্ববর্তী বাইডেন সরকার প্রণীত আইনে বলা হয়, আমেরিকায় সক্রিয় থাকতে হলে অ্যাপটির আমেরিকা বিজনেসের নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার বাইটড্যান্সকে বিক্রি করে দিতে হবে আমেরিকান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও কোনো পরিত্রাণ পায়নি বাইটড্যান্স ও টিকটক।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের আমেরিকা অংশের ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটিতে নিষিদ্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায় টিকটক। তবে ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার মাধ্যমে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ৭৫ দিনের জন্য অ্যাপটির নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল আরও একবার ৭৫ দিনের জন্য টিকটককে সময় বাড়িয়ে দেন তিনি যেটা শেষ হয়েছে গতকাল (১৯ জুন)।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আরও একবার টিকটককে অতিরিক্ত সময় দিতে যাচ্ছেন এমন ইঙ্গিত তিনি গত মাসেও দিয়েছিলেন। ফলে টিকটকের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার বিষয়টি বেশ প্রত্যাশিতই ছিল।
এদিকে ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে টিকটক। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের তত্ত্বাবধানে সম্ভাব্য গ্রাহক খোঁজার কাজ অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তাঁরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই বাইটড্যান্স ভ্যান্সের দিকনির্দেশনা ও মধ্যস্থতায় টিকটকের আমেরিকা বিজনেসের নিয়ন্ত্রণ কিনতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে আসছে।
নতুন করে ৯০ দিন সময় পাওয়ার পর বাইটড্যান্সকে এবার আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটকের আমেরিকা বিজনেসের নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার বিক্রি সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। তবে চীনের আইন অনুযায়ী এরুপ চুক্তিতে অবশ্যই অনুমোদন থাকতে হবে চীনের শি জিনপিং সরকারের। অন্যথায় কার্যকর হবে না চুক্তি।
সূত্র: বিবিসি
