আরাফাতের ময়দানে হিটস্ট্রোকে ৬ মুসল্লীর মৃত্যু
পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে আরাফাতের ময়দানে হাজির হয়েছিলেন লাখ লাখ হাজযাত্রী। এর আগেই সৌদি আরবে চলমান তাপদাহ হজের সময় ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছিল কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের সুরক্ষায় তাই নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থাও। কিন্তু এর মধ্যেও হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর আরাফাতের ময়দানে হিটস্ট্রোকে ছয়জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে জড়ো হওয়ার পর এই হজযাত্রীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতদের ছয়জনই জর্ডানের নাগরিক। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা জেদ্দায় সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৃতদের দাফনের বিষয়ে সমন্বয় করছে।
নিহতদের একজনের ভাগ্নি জানিয়েছেন, তার খালা আরাফাতের ময়দানে মারা গেছে এবং তাকে সৌদি আরবেই সমাহিত করা হয়েছে।
এ বছর জর্ডান থেকে অন্তত চার হাজার মানুষ হজ করতে সৌদি গেছেন। তবে নিহত ছয়জন সরকারি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে হজ করতে আসেনি। অর্থাৎ তাদের কাছে হজের জন্য বৈধ অনুমোদন ছিল না।
সৌদি কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজে অংশ নিয়েছেন। পাঁচ দিনব্যাপী চলা হজের পুরোটা সময়ই মক্কায় তীব্র তাপদাহ বজায় থাকবে বলে সতর্ক করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হজযাত্রীদের ছাতা ব্যবহার ও প্রচুর পানি পানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মুহাম্মাদ আল-আব্দুলালি।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮২ হাজার ৭৭২ জন হজযাত্রী সৌদি গেছেন। এর মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ পালন করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া মক্কায় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয় তার।