হজ্জ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ালো সৌদি সরকার
ঈদুল ফিতর শেষে এখন আসছে হজের মৌসুম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা তাই পবিত্র হজ্জব্রত পালন করার জন্য আবেদন করছেন ভিসার। বাংলাদেশেও চলছে আবেদন প্রক্রিয়া। আর এই ভিসার আবেদনের সময় শেষ হয় ২৯ এপ্রিল। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে নানা জটিলতায় এখনো ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
সময় বাড়ানোয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচিব বলেন, হজ এজেন্সিগুলো এসময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।
আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে চলতি বছরের হজে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী (বর্তমান মন্ত্রী) ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, এ বছরের ১ মার্চ থেকে পবিত্র হজ পালনের ভিসা ইস্যু শুরু হবে ও ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা আবেদন করা যাবে। কিন্তু বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো সৌদিতে বাসা ভাড়া করতে না পারা, ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের ভিসা না পাওয়া, মক্কা-মদিনার বাড়ি ভাড়ার টাকা আইবিএন অ্যাকাউন্টে না পাঠানোর জটিলতার কারণে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি হজ এজেন্সিগুলো। তাই ২৯ এপ্রিলের মধ্যে বেশিরভাগ হাজিদের ভিসার আবেদন করতে পারেনি এজেন্সিগুলো।