আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পাবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৯ PM

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ২০১৯ সালে বিদেশি নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা ব্যবস্থা চালু করে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ১০ বছরের ‘গোল্ডেন ভিসা’।

এই ভিসা মূলত তাদের জন্য, যারা ইউএই-তে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, পেশাগত দক্ষতায় মেধাবী বা যাদের কার্যক্রম দেশটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গোল্ডেন ভিসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা, যোগ্য পেশাজীবীদের দেশে ধরে রাখা এবং একটি স্থিতিশীল ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

গোল্ডেন ভিসার জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আবেদন করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—

বিনিয়োগকারী: যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেন, তারা এই ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন। বিনিয়োগের পরিমাণ এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ নির্ধারিত হয়।

উদ্যোক্তা: সফল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবনী নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতারাও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, যদি তাদের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানী: ডাক্তার, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

শিক্ষার্থী: কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে গোল্ডেন ভিসার জন্য যোগ্য হতে পারেন।

মানবতার সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি: কিছু নির্দিষ্ট মানবিক কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও এই ভিসার জন্য বিবেচিত হতে পারেন।

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী: নির্দিষ্ট পরিমাণের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের মাধ্যমেও গোল্ডেন ভিসা পাওয়া সম্ভব।

আবেদনের প্রক্রিয়া

গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও কিছু নির্দিষ্ট ধাপ এবং নথিপত্র প্রয়োজন হয়। সাধারণত, আবেদনকারীদের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্টস সিকিউরিটি (আইসিপি)- এর ওয়েবসাইটে বা অনুমোদিত সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।

যেসব নথি প্রয়োজন

বৈধ পাসপোর্ট, বিনিয়োগের প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়), শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার সনদপত্র, চিকিৎসা পরীক্ষার রিপোর্ট, চারিত্রিক সনদপত্র।

গোল্ডেন ভিসার সুবিধা

গোল্ডেন ভিসার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—

১। দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি (৫ থেকে ১০ বছর)।

২। ১০০ শতাংশ ব্যবসার মালিকানার অধিকার।

৩। পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে আসার সুযোগ।

৪। স্পন্সরের প্রয়োজনীয়তা নেই।

৫। অন্যান্য রেসিডেন্সি অনুমোদনের তুলনায় সহজে নবায়নের সুবিধা।

এদিকে সম্প্রতি একটি গুজব ছড়িয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের জন্য আজীবন মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে আমিরাত। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে দেশটি।