বিশ্ব অর্থনীতির এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: মুহাম্মদ ফারুক খান
দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক খান বলেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে না, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। সারা বিশ্ব, সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকারের আন্দোলনের প্রত্যেকটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। তার মতো নেতার আদর্শ যুগ যুগ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, ‘জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। এমন লোকেরা ক্ষণজন্মা। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়ে গেলেন তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে আমাদের কেবিনেটে নিয়ে এসেছেন। আমি কৃষকদের কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায় তার চেষ্টা করব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তার নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে।
জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিরল গুন সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি উচ্চ কণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন। তাঁর এই জিনিসগুলো আমাদের শেখা উচিত। মৃদুভাষী এবং নম্রতাকে আমরা রাজনীতিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখি।’