আজান শুনেই বক্তব্য বন্ধ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে মসজিদের মাইকে আসরের আজান শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য বন্ধ করে দেন তিনি। আজানের পুরোটা সময় তিনি চুপ ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীরাও নীরবতা পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়রি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা। এ সময় আসরের আজান শুরু হওয়ায় বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করেন তিনি। পরে আজান শেষে আবারও বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৩৩টা আসন আর বিএনপি পেয়েছিল ৩০টা আসন। এরপর থেকে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে আসেনি। কারণ, তারা জানে বাংলার মানুষ তাদের আর চায় না। তাই তারা (বিএনপি) আগুন-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য তারা (বিএনপি) অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের বেশি মানুষকে তারা পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ জনমারা গেছেন। তিন হাজার আটশ’র বেশি গাড়ি পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপির একমাত্র গুণ। তারা শুধু এটাই পারে। আর কিছু পারে না।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টা সময় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।