‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে আ.লীগের ইশতেহার অনুষ্ঠান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৪ AM

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আর ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের অনুষ্ঠান শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এবারের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পননা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে।

পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায়—সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত। ইশতেহারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছে আওয়ামী লীগ। সেগুলো হলো-

১. দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্য রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ।

৪. সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াযাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামো বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ।

৮. সর্বজনীন পেনশনে সকলকে যুক্ত করা।

৯. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত।

১০. সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইশতেহারে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করেছে। এর প্রতিটি অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবারও নির্বাচনী ইশতেহার হবে স্মার্ট ও গণমুখী।