মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির প্রবক্তা হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের
মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা হচ্ছে, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর গুজবের ডালপালা বিস্তার করা হচ্ছে। মানবাধিকারের প্রবক্তা টিআইবি বিএনপির ভাবাদর্শের প্রবক্তা হয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে। টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন হয়ে গেছে।
আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যে কোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে না আওয়ামী লীগ।
বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হবে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে। ১৭ ডিসেম্বর আমাদের আলোচনা সভা। ১৮ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় শোভাযাত্রা করা হবে। সেদিন একযোগে সারা দেশে বিজয় শোভাযাত্রা করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ও তার দোসরদের একদিকে সন্ত্রাস-সহিংসতা, অন্যদিকে গুজব ভয়ংকরভাবে বিস্তৃত হচ্ছে।
টিআইবির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে এখন যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন টিআইবি... ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না, এ প্রশ্নের উত্তর টিআইবির কাছে পাওয়া যাবে না। তারা জেনেশুনেই এটা করছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে, বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এর অর্থটা কী? টিআইবি বিএনপির শাখা-সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে।
নির্বাচনের আচরণবিধি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলোকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আমাদের যেসব প্রার্থী প্রার্থিতা হারিয়েছে, আমরা কারও ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা করিনি এবং করব না।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমারও বিজয়ের গ্যারান্টি নেই। আমাকেও চারজনের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। যদি তাদের মধ্যে কেউ জিতে যায়, আমাকে মানতে হবে। এখানে হার-জিতের প্রশ্ন হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ।